• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২২ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

দিনাজপুরে বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় 

প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২৪  

চলমান তীব্র তাপদাহ থেকে স্বস্তি পেতে বৃষ্টির জন্য দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকায় ইসতিসখার নামাজ আদায় করেছেন শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। 

নামাজ শেষে আল্লাহর দরবারে দুই হাত তুলে কান্নাকাটি করে সবার জীবনের গুনাহ মাফ চেয়ে তার রহমত ও বরকত কামনা করে বৃষ্টির জন্য মোনাজাত করা হয়। নামাজে অংশ নেন নানা বয়সী শত শত মুসল্লি। 

বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়ভাবে আয়োজনে দিনাজপুর পৌর শহরের লালবাগ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে, চিনিনবন্দরের রানীরবন্দর ইয়াতিম খানা ঈদগাহ মাঠে, বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতাবগঞ্জ পৌর ঈদগাহ মাঠে, খানসামা উপজেলার আংগারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে এই ইসতিসখার নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। আগামী শনিবারও বৃষ্টির জন্য কয়েক স্থানে ইসতিসখার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে কয়েকজন জানায়। 

দিনাজপুর শহরের লালবাগ ফুটবল খেলার মাঠে ইসতিসখার নামাজে ইমামতি করেন স্টেশন রোড আহলে হাদিস জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. আবু বকর, চিনিনবন্দরে নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ ডা. রহমাতুল্লাহ, বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা আমিনুল হকের আহ্বানে ইসতিসখার নামাজে ইমামতি করেন মাওলানা আবু তাহের মুকন্দপুরি, খানসামায় নামাজ ও দোয়া পরিচালনা করেন সাজাপুর জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মো. আনিছুর রহমান প্রমুখ। 

উত্তপ্ত রোদের মাঝেই দু’রাকাত নামাজ শেষে মুসল্লিগণ দু’হাত আসমানের দিকে তুলে অশ্রুসিক্ত চোখে মহান আল্লাহর নিকট সকল প্রকার গুনাহ মাফসহ রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনায় বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করেন। এ জেলায় দুই মৌসুমের রেকর্ড ছাড়িয়ে তাপমাত্রা। 

বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় দিনাজপুরে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আদ্রতা ১৩ শতাংশ এবং বাতাসের গড় গতিবেগ ১০ কিলোমিটার। এ জেলায় সকালে সূর্য ওঠার সাথে তাপমাত্রা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও রাতে তাপমাত্রা কিছুটা কমলে হালকা বাতাসে কিছুটা স্বস্তি অনুভূত হয় বলে জানায় দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন।

নামাজে অংশগ্রহণকারী মুসল্লিরা জানান, কালবৈশাখীর মৌসুমেও বৃষ্টির দেখা নেই। নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর শুকিয়ে গেছে। পানির স্তর নিচে নেমে যাওয়ায় পানি উঠছে না অগভীর নলকূপ ও সেচ পাম্পে। অনাবৃষ্টির কারণে মাঠে রোদে পুড়ে কৃষকের বিভিন্ন ফসল নষ্ট হচ্ছে। আম-লিচুর গুটি ঝরে পড়ছে। এছাড়াও এ তীব্র গরমে ধান-পাটসহ কৃষির ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অনাবৃষ্টির কারণে মানুষ, পশুপাখি, গাছপালাসহ সকলেই অত্যন্ত কষ্টে আছে। গরমের তীব্রতায় ঘরে-বাইরে কোথাও শান্তি নেই। সেজন্যই আমরা আল্লাহর রহমতের বৃষ্টির আশায় নামাজ আদায় করতে সমবেত হয়েছি। সৃষ্টিকর্তা চাইলে সবকিছুই সম্ভব।

ইমাম মাওলানা মো. আনিছুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ, তার ওপর বৃষ্টি নাই। এতে জনজীবন কষ্টে রয়েছে সেই সাথে ফসল নষ্ট হচ্ছে। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের চলাফেরা, ইবাদত বন্দেগি করতেও সমস্যা হচ্ছে। এ কারণে আমরা বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায় করলাম। আল্লাহর কাছে চাওয়া তিনি যেন আমাদের নামাজ ও দোয়া কবুল করেন। 

– দিনাজপুর দর্পণ নিউজ ডেস্ক –